লুৎফুল কায়সার
আঁধার আর ঈশ্বর
শুরুর আগে
ঘুমিয়ে আছেন তিনি। অদ্ভুত এক মহাজাগতিক শূন্যতা গ্রাস করেছে তাঁকে।
জগৎ-সংসারের সবকিছু বেঁচে আছে উনার ঘুমের মধ্যেই। যদিও এই সংসার নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই তাঁর।
তারপরেও এই জগৎ গড়ে উঠেছে।
ঘুমিয়ে চলেছেন তিনি আর দেখে চলেছেন একের পর এক স্বপ্ন। প্রতিটি সৃষ্টিকে নতুন করে পূর্ণতা দিয়ে চলেছে উনার স্বপ্নগুলো। স্বপ্নের মাধ্যমেই প্রতিদিন
বৃক্ষোভ
চুপচাপ বসে আকাশ দেখছিল সে। নীল আকাশটাকে খুবই অদ্ভুত লাগে তার। এইজন্য সময় পেলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে ও। অবসর সময়ের কাজ আর কি!
তবে আজকের কথা ভিন্ন। অসুস্থতা, ক্ষুধা আর বিষন্নতাতে জর্জরিত হয়ে প্রায় আধমরা অবস্থাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে বাস্তবকে ভুলতে চাইছে সে। সন্ধ্যা হতে চলেছে প্রায়। ক্রমাগত রক্তিম লাল রঙ ধারণ করতে থাকা আকাশের দিকে তাকিয়ে কেমন যেন
ছায়া-কায়া
ছায়া-কায়া
লেখক – লুৎফুল কায়সার
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
বেশ আলো-আধাঁরিময় পরিবেশ। বিশাল ঘরটাতে হালকা হলুদ রঙয়ের ডিমলাইট জ্বলছে। পুরো ঘর জুড়ে অনেকগুলো পুরুষ ম্যানিকুইন দাঁড় করিয়ে রাখা। আবছা আলোতে এই ম্যানিকুইনগুলোর দিকে তাকালে শরীরটা কেমন যেন শিউরে ওঠে!
এই আধো আলোতেই সমানে পিৎজা খেয়ে চলেছেন ওসমানী সাহেব। সামনে বসে থাকা পিৎজা-বয়টি একাধারে অবাক, বিরক্ত এবং কিছুটা ভীত!